Footer Logo

২০২১/০৪/৩০

বাংলা নাটকে মধুসূদন দত্তের অবদান । Place of Madhusudan Dutta in Bengali Literature.

  BAIRAGYA SHIKSHA NIKETAN       ২০২১/০৪/৩০

 বাংলা নাটকে মধুসূদন দত্তের অবদান । Place of Madhusudan Dutta in Bengali Literature


বাংলা নাটকে মধুসূদন দত্তের অবদান । Place of Madhusudan Dutta in Bengali Literature
 বাংলা নাটকে মধুসূদন দত্তের অবদান । Place of Madhusudan Dutta in Bengali Literature

মধুসূদন দত্তের নাট্যপ্রতিভা আলোচনা কর: Micheal Madhusudan Dutta as a Dramatist.

বাংলা নাটকের আদিপর্ব: First Stage of Bengali Drama: Bengali Literature:

বাংলা নাট্যসাহিত্য অনেকটা সংস্কৃত নাটকের কাছে ঋণী। লোকসংস্কৃতির নানা উপাদান, যাত্রা, কথকতা, টুসু, ভাদু ইত্যাদি বাংলা নাটকের গঠনের উপাদান হিসাবে কাজ করেছে। আবার, ইংরেজদের আগমনের পর থেকে পাশ্চাত্যনাটক বাংলানাটকে অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছে।


অষ্টাদশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে ইংরেজ বণিকরা কলকাতায় নাট্যশালা স্থাপন করেন। সেখানে ইংরেজি নাটকের অভিনয়ের পাশাপাশি সংস্কৃত নাটকের অভিনয় হত। গেরাসিম লেবেডেফ প্রথম এদেশীয় নট-নটিদের সাহায্যে দুটি নাটকে অভিনয় করেন, The Disguise এবং Love is the Best Doctor (১৭৯৪)।


এই দুটি নাটক অনুবাদ করে অভিনীত হয়েছিল। এরপর বহুদিন কোন অভিনয় সংবাদ পাওয়া যায়নি। মধুসূদনের আগমনের পূর্বে শোভাবাজার বা বেলগাছিয়ায় কিছু সংস্কৃত নাটকের বাংলা অনুবাদ করে অভিনয় করা হয়েছিল নানা সময়। এর পূর্বে এদেশে পাশ্চাত্য নাটকের অনুসরণ করেন এমন দুজন বাঙালি নাট্যকারের নাম পাওয়া যায়। তাঁরা হলেন J.C.Gupta এবং তারাচরণ শিকদার


এছাড়া হরচন্দ্র ঘোষের ‘ভানুমতি চিত্তবিলাস’ (১৮৫২) শেক্সপিয়রেররোমিও জুলিয়েট’ নাটক অবলম্বনে লেখা। রামনারায়ণ তর্করত্নের ‘কুলীনকুলসর্বস্ব’'(১৮৫৪), কালীপ্রসন্ন সিংহের ‘বাবু’(১৮৫৪), উমেশচন্দ্র মিত্রের ‘বিধবা বিবাহ’(১৮৫৬) নাটক রচিত হয়। তাঁরা অনেকেই পাশ্চাত্য ধারাকে অনুসরণ করে মধুসূদনপূর্ব যুগে বাংলা নাটকের নতুন পথের সন্ধান করেছিলেন।


মধুসূদন দত্তের আবির্ভাব: Madhusudan Dutta:


এই পটভূমি ও ঐতিহ্যকে মনে রেখে মধুসূদনের নাটক আলোচনা করতে গিয়ে দেখি, বাংলা নাট্যজগতে তাঁর আবির্ভাব উল্লেখযোগ্য ঘটনা। যখন তিনি মাদ্রাজ ছেড়ে কলকাতায় স্থায়ীভাবে ফিরে এলেন, তখন থেকেই সৌভাগ্যক্রমে তিনি বাংলা নাটক তথা সাহিত্যের সঙ্গে যুক্ত হলেন।


ভালো বাংলা নাটক তখন ছিল না। অপটু হাতে সংস্কৃত নাটকের অপাঠ্য দুর্বল অনুবাদগুলি মহাসমারোহে রাজারা অভিনয় করাতেন। সেগুলির না ছিল নাট্যগুণ, না ছিল সাহিত্যগুণ। এরকম একটি নাটক ‘রত্নাবলী’। অভিনয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন মহারাজা প্রসন্নকুমার ঠাকুর, বেলগাছিয়া রঙ্গমঞ্চে।


ইংরেজ দর্শকদের জন্য নাটকটির ভাষান্তর করার  দায়িত্ব ছিল মধুসূদনের হাতে। আমন্ত্রিত হয়ে সেই অভিনয় দেখতে এসে তিনি বাংলা নাটকের প্রকৃত দৈন্য দশাটি বুঝতে পারলেন। এরপর রাজাদের সাথে তর্ক করে, জেদের বশে ভালো বাংলা নাটক লিখতে চাইলেন।


অথচ তিনি তখনো ভালো করে বাংলা ভাষাটাই জানতেন না। মাত্র পাঁচ মাসে কঠোর পরিশ্রম করে সংস্কৃত ও বাংলা শিখে ১৮৫৯এর জানুয়ারিতে তিনি আমাদের উপহার দিলেন যথার্থ পাশ্চাত্যধর্মী এক বাংলা নাটক। এই সাড়া জাগানো আবির্ভাব তাঁকে সহসা চিহ্নিত করলো এবং বাংলা সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্রে স্থাপিত করল। ‘শর্মিষ্ঠা’ নাটকের ভূমিকায় তৎকালীন নাট্যচর্চার দৈন্যদশাটি চমৎকার ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি।


“অলীক কুনাট্যরঙ্গে মজে লোক রাঢ় বঙ্গে

 নিরখিয়া প্রাণে নাহি সয়।”।


 অলীক কুনাট্য থেকে বঙ্গ দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে ভগীরথের মত পাশ্চাত্য নাট্যশাস্ত্রের জলধারাকে বাংলাদেশ আনলেন তিনি। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সম্মিলন নাট্যচর্চা যে নতুন ধারাটি গড়ে উঠলো, সেই পথ বেয়ে আজও এগিয়ে চলেছে বাংলা নাটকের সাফল্যের তরঙ্গ। তাই যথার্থ অর্থে বাংলা নাটকের প্রাণপুরুষ তিনি।


মধুসূদন দত্তের  নাটকগুলি: Plays of Madhusudan Dutta:


তিনি মোট পাঁচটি নাটক ও প্রহসন লিখেছিলেন। মহাভারতের কাহিনী নিয়ে লেখা ‘শর্মিষ্ঠা'’ (১৮৫৯), গ্রীক পুরাণের কাহিনী নিয়ে লেখা ‘পদ্মাবতী'’ (১৮৬০), ঐতিহাসিক নাটক ‘কৃষ্ণকুমারী'’ (১৮৬১) এবং দুটি প্রহসন ‘একেই কি বলে সভ্যতা’' (১৮৬০), ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’' (১৮৬০)। এছাড়াও জীবনের অন্তিম পর্বে দেহ ও মনে পিড়িত মধুসূদন আরো দুটি নাটক পরিকল্পনা করেছিলেন। এদের মধ্যে ‘মায়াকানন’' নাটকটি শেষ করেছেন।


'শর্মিষ্ঠা ’: Sharmistha:


তাঁর ‘শর্মিষ্ঠা’ নাটকের কাহিনী সংস্কৃত মহাভারতের আদিপর্বে শর্মিষ্ঠা-দেবযানি-যযাতি উপাখ্যান থেকে গৃহীত। এই নাটকের চরিত্র নির্মাণে কালিদাসকে আদর্শ করেছিলেন। পুরোপুরি পাশ্চাত্য রীতিতে লেখা এই নাটকে তখনো সংস্কৃত নাটকের প্রভাব কাটিয়ে উঠতে পারেনি। হয়তো প্রথম নাটক বলে বেশ কিছু ত্রূটি, দুর্বলতা আছে।


কিন্তু বাংলা নাটকের প্রকৃত ভাবটি কোথায় বা পাশ্চাত্য নাটক কোথায় শ্রেষ্ঠ, সেটি তিনি বুঝতে পেরেছিলেন। আমাদের ভারতীয় নাটকে আছে উচ্ছ্বাস, আবেগ, কবিত্ব। কিন্তু পাশ্চাত্য নাটকে আছে চরিত্রের অন্তর্দ্বন্দ্ব ও বাস্তবতা। তাই ক্ষোভ প্রকাশ করে একটি চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “In great european drama you have the stern realities of life,lofty passion; with us it is all romance,all sentiment, all softness. We forget the world of reality.


'পদ্মাবতী ’: Padmavati:


দ্বিতীয় নাটকে গ্রিক পুরাণের ‘Apple of Discord’ কাহিনীকে নিয়ে তিনি তাকে ভারতীয় করে তুললেন। কে শ্রেষ্ঠ সুন্দরী, এই তর্কে স্বর্গের দেবী জুনো, ভেনাস ও প্যালাস মত্ত রয়েছেন। মর্তের যুবরাজ প্যারিসের উপর সেই বিচারের ভার দেওয়া হয়েছিল।


প্যারিস ভেনাসকে শ্রেষ্ঠ সুন্দরী হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন এবং তার হাতে সোনার আপেলটি তুলে দিয়েছিলেন। মধুসূদন নাম পাল্টে চরিত্র ও কাহিনীটিকে ভারতীয় করেছেন। তাঁর হাতে জুনো হয়েছেন দেবরানী শচী, প্যালাস হয়েছেন মূরজা, ভেনাস হয়েছেন রতি, যুবরাজ হয়েছেন ইন্দ্রনীল এবং হেলেন হয়েছেন পদ্মাবতী।


আপেল বাদ দিয়ে তিনি এনেছেন পদ্মফুল। এইভাবে যথাসম্ভব গ্রীক পুরাণের গল্পটিকে ভারতীয় করে তুলেছেন তিনি। এই নাটকে তিনি প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে কলি চরিত্রের সংলাপে অমিত্রাক্ষর ছন্দ ব্যবহার করেছেন।


‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ এবং ‘একেই কি বলে সভ্যতা’:


এরপর একই বছরে তিনি দুটি প্রহসন রচনা করলেন। ধর্মধ্বজাধারী ভন্ড বৃদ্ধ মানুষের লালসা, কুপ্রবৃত্তি, আবার শিক্ষার নামে মদ্যপান ও ইংরেজদের অনুসরণকারী ইয়ংবেঙ্গল দলকে উপহাস করে লিখলেন ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ এবং ‘একেই কি বলে সভ্যতা’ প্রহসনদুটি। এই দুটি সেকালের বৃদ্ধ ও তরুণ সম্প্রদায়ে রুষ্ট করেছিল বলে এই দুটির অভিনয় হয়নি।

কৃষ্ণকুমারী’: Krishnakumari:


তাঁর শ্রেষ্ঠ নাটক, বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ ট্রাজেডি নাটক ‘কৃষ্ণকুমারী’। টডের রাজস্থানের কাহিনী থেকে নেওয়া হয়েছে। দুর্বল রানা ভীমসিংহের সুন্দরী কন্যা কৃষ্ণাকে বিবাহের জন্য রানা মানসিংহ ও রাজা জগৎ সিংহ ভীম সিংহের রাজ্য আক্রমণের হুমকি দেন। বৃদ্ধ পিতা যখন কন্যাস্নেহ, না দেশ রক্ষা করবেন, তা নিয়ে দ্বিধা করছন, তখন তাঁকে বাঁচানোর জন্য রাজকুমারী কৃষ্ণাদেবী মন্দিরে আত্মহত্যা করেন। মধুসূদন এর সঙ্গে গ্রিক নাট্যকার ইয়েটস-এর লেখা ‘ইফিগেনিয়া ইন পেরাস’ নাটকের কাহিনী যুক্ত করেছেন। তাঁর ‘কৃষ্ণকুমারী’ বাংলা সাহিত্যের অনন্য সৃষ্টি।

 শেষ জীবনে তিনি অর্থের প্রয়োজনে লিখেছেন ‘মায়াকানন’ নাটক। তখন তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত তাই নাটক হিসেবে এটি মধুসূদনের প্রতিভার যোগ্য সৃষ্টি নয়।


এই ব্লগে আপনি কি পেতে পারেন ? এই ব্লগ কাদের জন্য? How will this Blog help you? What will you get from this Blog?


এই ব্লগটি মূলত ছাত্র ছাত্রীদের জন্য। পঞ্চম শ্রেণী থেকে শুরু করে মাধ্যমিক পরীক্ষা, একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা, বাংলা অনার্স, বাংলা মাস্টার্স ডিগ্রি পর্যন্ত সমস্ত শ্রেণীর বাংলা বিষয়ে র মূল্যবান নোটস এই ব্লগে পাওয়া যাবে । এই ব্লগে আপনি পাবেন class 10 Bengali book pdf, class 10 Bengali question answer, CBSE class 10 Bengali guide book pdf, class 10 Bengali answer, class 10 Bengali syllabus, class 10 Bengali question answer, CBSE class 10 Bengali guide book pdf free download, CBSE class 10 Bengali guide book pdf, class 10 Bengali syllabus, class 10 Bengali question answer 2022, class 10 Bengali book pdf. বাংলা sahitya sanchayan class 10 bengali,sahitya sanchayan class 10 bengali বই থেকে সমস্ত রকমের নোটস আপনাকে Madhyamik/ Class 10th পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেতে সাহায্য করবে । যে সব ছাত্র ছাত্রী উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেবেন, একাদশ শ্রেণীতে পড়ছেন, তাদের জন্য এই ব্লগ বিশেষভাবে উপযোগী। এই ব্লগে আছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রয়জনীয় বাংলা নোটস এর বিপুল সম্ভার। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য আমি তৈরি করেছি : hs bengali suggestion 2021 pdf download, bangla suggestion 2021 - 2022, bengali suggestion 2021-2022 hs, hs bengali question answer, hs bengali question 2021 - 2022, class 12 bengali suggestion 2021 / 2022 pdf, hs bengali syllabus 2021 - 2022, hs bengali notes, bangla suggestion, hs bengali question answer. একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের জন্য আমি আমার বিশেষ প্রয়াস class 11 Bengali notes pdf download, class 11 Bengali notes, class xi Bengali suggestion pdf, class 11 Bengali question paper. যারা বাংলা বিষয়ে অনার্স Bengali Honours করছেন , তারাও প্রয়োজনীয় সমস্ত নোটস পাবেন। পঞ্চম শ্রেণী Class v / 5 থে কে নবম শ্রে ণী Class ix / 9 পর্যন্ত সমস্ত ক্লাসের বাংলা বই এর প্রশ্ন উত্তর এখানে পাবেন। টেক্সট বই text book থেকে সব উত্তর আছে ।


Related Tags:


Bengali Literature: Madhusudan Dutta and his dramas

Place of Madhusudan Dutta in Bengali Literature

বাংলা নাটকে মধুসূদন দত্তের অবদান

Padmavati by Michael Madhusudan Dutta

Michael Madhusudan Dutt Bengali Poems

Michael Madhusudan Dutta 

The Captive Lady by Michael Madhusudan Dutta

Padmavati by Michael Madhusudan Dutta
Madhusudan Dutta sonnet
Michael Madhusudan Dutta Bengali Kobita
Michael Madhusudan Dutta death
logoblog

Thanks for reading বাংলা নাটকে মধুসূদন দত্তের অবদান । Place of Madhusudan Dutta in Bengali Literature.

Previous
« Prev Post

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please do not enter any spam links in the comment box.