Madhyamik Class 10 Bengali Poem Africa by Ravindranath Tagore Question Answer আফ্রিকা কবিতা থেকে প্রশ্ন উত্তর
![]() |
Madhyamik Class 10 Bengali Poem Africa by Ravindranath Tagore Question Answer |
আফ্রিকা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর Madhyamik Bengali Poem Africa by Ravindranath Tagore
সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন: প্রশ্নের মান ১: Africa Bengali Poem by Rabindranath Tagore Short Answer Type Questions:
Class 10 Poem Africa
১ আদিম যুগকে কবি উদ্ভ্রান্ত বলেছেন কেন।
আদিম যুগ হলো পৃথিবীর সৃষ্টিকালীন সময়। সেই সময় ভূমিকম্প, সুনামি, ঝড় প্রভৃতি প্রাকৃতিক দুর্যোগ সকল পৃথিবীকে অশান্ত করে রেখেছিলো। পৃথিবীর সৃষ্টি কালীন উত্থান পতনময় দিনগুলিকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর উদ্ভ্রান্ত বলেছেন।
২ স্রষ্টা নিজের সৃষ্টিকে বিধস্ত করছিলেন কেন ?
স্রষ্টা নিজের উপর অসুন্তুষ্ট ছিলেন। আপনার সৃষ্ট এই পৃথিবীর রূপ তার পছন্দ হয় নাই। তাই তিনি বারবার পৃথিবীকে ভেঙে গড়ছিলেন।
৩ “ তার সেই অধৈর্যে ” কার, কেন অধৈর্য হয়েছিল?
সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীকে সৃষ্টি করার সময় বারবার ভেঙে গড়ছিলেন। পৃথিবীর রূপাঙ্কন ও গঠনের ব্যাপারে তিনি সন্তুষ্ট ছিলেন না। তাই তিনি মাথা নেড়ে অধৈর্য প্রকাশ করেছিলেন।
৪ সমুদ্রকে রুদ্র বলা হয়েছে কেন?
পৃথিবীর সৃষ্টি কালে পৃথিবীর রূপ ও গঠন বারবার বদলেছে। ঘন ঘন ভূমিকম্পের কারণে সমুদ্রে প্রবল জলোচ্ছাস হয়েছিল। কবি রবীন্দ্রনাথ এই অশান্ত সমুদ্রকে রুদ্র বলেছেন।
৫ ‘প্রাচী’ শব্দের অর্থ কি?
প্রাচী শব্দের অর্থ হলো পূর্ব দিক। আফ্রিকা কবিতায় প্রাচী শব্দটি এশিয়াকে নির্দেশ করেছে।
৬ কে আফ্রিকাকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিলো?
রুদ্র বা ভয়ানক সমুদ্র দুই বহু বিস্তার করে আফ্রিকাকে ধরে তার আপনজন এশিয়ার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিলো।
৭ আফ্রিকার বিচ্ছিন্ন হওয়ার প্রাকৃতিক কারণ কি ?
একসময় মহাদেশীয় পাতগুলি একত্র জমাট বেঁধে ছিল। কিন্তু প্রবল ভূমিকম্পের কারণে সত্যি বড় মহাদেশীয় পাত ও কিছু ছোট পাত সৃষ্টি হলো। তখন সমুদ্র স্রোত ও পরিচালন স্রোত পাতগুলিকে একে ওপরের থেকে সরিয়ে নিয়ে গেলো। এই স্রোত এশিয়ার কাছ থেকে আফ্রিকাকে ছিনিয়ে নিয়ে গেলো।
৮ “ কৃপণ আলোর অন্তপুর “ কথাটি বলা হয়েছে কেন ?
আফ্রিকা মহাদেশ সুবিশাল ঘন সমৃদ্ধ বনভূমি দ্বারা সমৃদ্ধ। অরণ্য এত ঘন যে সূর্যের এল সেখানে প্রবেশের অধিকার পায় না। অন্ধকারে ঢাকা এই মহাদেশের অধিকাংশ স্থান। তাই কবি আলোকে কৃপণ বলেছেন।
৯ কে আফ্রিকাকে কোথায় নির্বাসন দিয়েছিলো?
রুদ্র সমুদ্র নতুন সৃষ্টি আফ্রিকাকে নির্জন সমুদ্র বক্ষে নির্বাসন দিয়েছিলো এবং নিবিড় বনস্পতির অতন্দ্র পাহারায় রাখলো।
১০ নিভৃত অবকাশে আফ্রিকা কি করেছিল ?
নিভৃত অবকাশে আফ্রিকা দুর্গমের রহস্য সংগ্রহ করছিলো।
১১ দুর্গমের রহস্য কে কিভাবে সংগ্রহ করেছিল ?
দুর্গমের রহস্য হলো রহস্যময়ী প্রকৃতি। প্রাকৃতিক ভূমিকম্প ঝড় সুনামি প্রভৃতি ঘটনাগুলিকে দুর্গমের রহস্য বলা হয়েছে। আফ্রিকা এই সব প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলিকে জয়ের রহস্য সংগ্রহ করছিলো।
১২ প্রকৃতির দৃষ্টি অতীত জাদু কি ?
প্রকৃতি স্বয়ং রহস্যময়ী। প্রকৃতির রহস্য ভেদ করা সহজ নয়। প্রকৃতির রহস্যময়ী সত্তাকে আফ্রিকা তার শৈশব অবস্থায় চিনে নিতে পেরেছিলো। যা সহজে বোধগম্য হয় না, তাই হলো দৃষ্টি অতীত জাদু।
১৩ কে আফ্রিকার মনে চেতনা জাগিয়েছিল ?
প্রকৃতির দৃষ্টি অতীত জাদু বা প্রকৃতির রহস্যময়ী সত্তা আফ্রিকার চেতনাতীত মনে চেতনা জাগিয়েছিল।
১৪ কে, কীভাবে ভীষণকে বিদ্রুপ করেছিল ?
আফ্রিকা বিরূপের ছদ্মবেশে ভীষণকে বিদ্রুপ করেছিল।
১৫ কে শঙ্কাকে হার মানাতে চেয়েছিলো ?
আফ্রিকা তার সৃষ্টিকালীন সময়ে শঙ্কাকে হার মানাতে চেয়েছিলো।
Learn more on YouTube:
১৬ তান্ডবের দুন্দুভিনিনাদ বলতে কি বোঝো ?
আফ্রিকার সৃষ্টিকালীন সময়ে নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ আফ্রিকাকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলো। আফ্রিকার বুকে নিরন্তর ঘটে যাওয়া এইসব প্রাকৃতিক দুর্যোগকে কবি যুদ্ধের সাথে তুলনা করেছেন এবং বলেছেন সেখানে অনন্তর যুদ্ধের বাজনা বেজে চলেছে।
17 হাই ছায়াবৃতা - হায় শব্দটি ব্যবহার করেছেন কেন?
হায় হলো একটি অব্যয় পদ. এর দ্বারা মনের আক্ষেপ এবং দুঃখ প্রকাশ পায়. আফ্রিকা কবিতায় হায় শব্দটি ব্যবহার করে রবীন্দ্রনাথ আফ্রিকার প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন.
18 হাই ছায়াবৃতা- কাকে কেন ছায়াবৃতা বলা হয়েছেঃ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আফ্রিকা কবিতায় আফ্রিকাকে ছায়াবৃতা বলেছেন. আফ্রিকা ছিল ঘন অরণ্যে ঢাকা. সূর্যের আলো সেখানে প্রবেশের অধিকার পায় না. ছায়া দ্বারা আবৃত বলে এবং আফ্রিকাকে নারী হিসেবে উপস্থাপন করেছেন বলে কবি আফ্রিকাকে ছায়াবৃতা বলে বিশেষিত করেছেন.
19 অপরিচিত ছিল তোমার মানব রূপ- কার মানব রূপ কেন অপরিচিত ছিল?
আফ্রিকার মানবরূপ ইউরোপীয় সভ্য মানুষের কাছে অপরিচিত ছিল. আফ্রিকার দুর্গম বন্য পরিবেশে সত্যকার মানুষ আছে তথাকথিত ইউরোপীয় সভ্য মানুষরা তা মানতে চায়নি. তাই আফ্রিকার মানুষ অপরিচিত ছিল.
20 উপেক্ষার আবিল দৃষ্টিতে- আবিল শব্দের অর্থ কি? কারা কাকে উপেক্ষা করেছিল?
আবিল শব্দের অর্থ হলো ঘৃণ্য বা নোংরা. সভ্য ইউরোপীয়রা তাদের ঘৃণ্য দৃষ্টিতে আফ্রিকাকে অবলোকন করেছিল এবং উপেক্ষা করেছিল.
21 এল ওরা লোহার হাতকড়ি নিয়ে- কারা এল? লোহার হাতকড়ি নিয়ে এলো কেন?
ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদী শাসকরা লোহার হাতকড়ি বা পরাধীনতার শৃংখল নিয়ে আফ্রিকায় গিয়েছিল এবং আফ্রিকাকে বন্দিনী করেছিল.
22 এল মানুষ ধরার দল- মানুষ ধরার দল কারা?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আফ্রিকা কবিতায় ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদী শাসকদের মানুষ ধরার দল বলেছেন. তারা অস্ত্রের দ্বারা আফ্রিকায় মানুষকে পরাধীন করেছিল এবং নির্মম অত্যাচার করেছিল.
23 কাদের নখ নেকড়ের চেয়েও তীক্ষ্ণ?
ইউরোপীয় সাম্রাজ্য লোভী শাসকের নখ আফ্রিকার নেকড়ের থেকে তীক্ষ্ণ ছিল. এটি একটি প্রতীকী কথা. সাম্রাজ্যবাদী শক্তিধর দেশগুলি ভয়ঙ্কর মারণাস্ত্র নিয়ে আফ্রিকাকে পরাধীন করেছিল. আফ্রিকার সিংহের থেকে ইউরোপীয় সভ্য মানুষরা অনেক বেশি হিংস্র ছিল.
24 কারা গর্বে অন্ধ ছিল?
ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলি তাদের তথাকথিত শিক্ষা ও সভ্যতার গর্বে গর্বিত ছিল. ভুবন জোড়া লোভ তাদের অন্ধ করে রেখেছিল.
25 সভ্যের বর্বর লোভ- সভ্য কারা? তাদের বর্বর বলা হয়েছে কেন?
আফ্রিকা কবিতায় রবীন্দ্রনাথ তথাকথিত সভ্যতায় পরিচিত ইউরোপীয়দের লোভী বর্বর বা নীচ বলেছেন. ইউরোপীয়রা রিকার মানুষকে বন্দিনী করে অত্যাচার করে তাদের লোভ চরিতার্থ করেছিল.
26 নগ্ন করলো আপন নির্লজ্জ অমানুষতা - অর্থ লেখ.
ইউরোপীয় সাম্রাজ্য লোভী শাসকরা তাদের সর্বগ্রাসী লোভ পূর্ণ করার জন্য আফ্রিকার মানুষের উপর অকথ্য নির্যাতন করেছিল. তারা নিজেদের সভ্য বলে পরিচয় দিলেও তাদের মনের মধ্যে যে আদিম প্রবৃত্তি ও হিংসা জমে ছিল তা জগতবাসীর সামনে প্রকাশ পেল. তারা নির্লজ্জ অমানবিকতার পরিচয় রাখল আফ্রিকাকে বন্দিনী ও শাসন করার ঘটনায়.
27 তোমার ভাষাহীন ক্রন্দনে - কার ক্রন্দন ভাষাহীন ছিল? ভাষাহীন ছিল কেন?
ইউরোপীয় শাসকের নির্মম অত্যাচারে আফ্রিকা কাঁদছিল। আফ্রিকার উপরে যে নিষ্ঠুর অত্যাচার করা হয়েছিল সেই বেদনা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব ছিল না। তাই আফ্রিকার ক্রন্দন ভাষাহীন ছিল।
28 বাষ্পাকুল অরণ্য পথে- অরণ্য পথ বাষ্পাকুল ছিল কেন?
আফ্রিকার মানুষের উপর নির্মম অত্যাচার করেছিল ইউরোপীয় শাসকরা। অত্যাচারের মাত্রা এত প্রবল ছিল তা প্রকাশের ভাষা ছিল না। আফ্রিকার সেই বেদনা সমস্ত অরণ্য পথকে ব্যথিত করেছিল এবং আফ্রিকার চোখের জল বাষ্প হয়ে অরণ্য পথকে আর্দ্র করেছিল।
29 পঙ্কিল হলো ধূলি - অর্থ লেখ।
ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদী শাসকরা আফ্রিকাকে এত অত্যাচার করেছিল এবং আফ্রিকার মানুষের বুক থেকে এত রক্ত ঝরিয়ে ছিল তা বর্ণনা অতীত। আফ্রিকার মানুষের বুকের রক্তে সেখানে মাটি ভিজে গিয়েছিল এবং পঙ্কিল হয়েছিল।
30 বীভৎস কাদার পিণ্ড - কোন প্রসঙ্গে এ কথা বলেছেন কবি?
ইউরোপীয় সাম্রাজ্য লোভী শাসকরা আফ্রিকাকে বন্দিনী করার জন্য সেখানে সৈন্য পাঠিয়েছিল। সৈন্যদের কাটা মারা জুতোর তলায় পিষ্ট হয়েছিল আফ্রিকার মানুষ। আফ্রিকার বুক থেকে ঝরেছিল রক্ত, চোখ থেকে অশ্রু। রক্ত এবং অশ্রুতে মিশে আফ্রিকার মাটি পঙ্কিল হয়েছিল। সেই পাঁক ইউরোপীয় সৈন্যদের কাঁটামারা জুতোর তলায় আটকে থাকলো।
31 চিরচিহ্ন দিয়ে গেল - কারা, কোথায় চিরচিহ্ন দিয়ে গেল?
আফ্রিকা সুপ্রাচীন কাল থেকে আপন মহিমায় সম্মানের আসন অর্জন করেছিল। কিন্তু তা ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদের শাসকদের দুরন্ত লোভ ও হিংসার কাছে পরাভূত হল। আফ্রিকার ইতিহাসে পরাধীনতার গ্লানি মুদ্রিত হল।
32 কোথায় কেন পূজার ঘন্টা বাজছিলো?
ইংল্যান্ডের মন্দিরের পূজার ঘন্টা বাজছিলো। শাসকের দেশ ইংল্যান্ডের মানুষ সুখ ও শান্তির জীবন ভোগ করছিল তাই তাদের জাঁকজমকপূর্ণ ধর্ম চর্চা করতে দেখা গিয়েছিল।
33 শিশুরা খেলছিল মায়ের কোলে- অর্থ লেখ।
সাম্রাজ্যবাদী ইংল্যান্ড আফ্রিকাকে শাসন ও নির্যাতন করলেও তাদের দেশে শান্তি অক্ষুন্ন ছিল। তাই শিশুরা মায়ের কোলে নিশ্চিন্ত মনে খেলা করছিল।
34 কবির সংগীতে কি বেজে উঠেছিল?
সভ্য দেশ বলে খ্যাত ইউরোপ ও ইংল্যান্ড পৃথিবীর অন্যান্য দেশ বিশেষত আফ্রিকা মহাদেশকে অবর্ণনীয় অত্যাচার করলেও তাদের দেশের শান্তি অটুট রেখেছিল। তাই সেখানে কবি শিল্পীরা মনের আবেগ মিশিয়ে সুন্দরের ও সংগীতের এর আলোচনা করছিল।
35 প্রদোষকাল ঝঞ্ঝাবাতাসে রুদ্ধশ্বাস - অর্থ লেখ।
প্রদোষকাল শব্দের অর্থ হলো সন্ধ্যেবেলা। সন্ধ্যার পরে যেমন রাত আসে, তেমনি বর্তমান যুগ শেষ হতে চলেছে এবং এরপরে সভ্যতার সূর্য অস্ত গিয়ে অন্ধকার নামবে। যুগান্তরের সেই সময়টি ছিল ঝঞ্ঝাবাতাসে রুদ্ধশ্বাস।
36 মানহারা মানবীর কাকে বলা হয়েছে?
আফ্রিকাকে মানব মানবী বলেছেন রবীন্দ্রনাথ। আফ্রিকায় প্রকৃত মানবতা বজায় ছিল। তাই আফ্রিকা ছিল মানবী। ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদীরা অস্ত্রের জোরে আফ্রিকার মান হরন করছিল। আফ্রিকা হয়েছিল মানহারা।
37 সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী কী?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আফ্রিকা কবিতায় বলেছেন সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী হল ক্ষমা স্বীকার করা।
38 হিংস্র প্রলাপ কী?
বিংশ শতকে পৃথিবীজুড়ে যুদ্ধের যে প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছিল, এই হিংসা ও কোলাহলকে কবি হিংস্র প্রলাপ বলেছেন।
39 আফ্রিকা কবিতাটি কোন গ্রন্থ থেকে চয়ন করা হয়েছে?
আফ্রিকা কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা পত্রপুট কাব্য থেকে নেওয়া হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam links in the comment box.