Class xi Kartar Bhoot Question Answer
![]() |
Class xi Kartar Bhoot Question Answer |
কর্তার ভূত Kartar Bhoot Long Question Answer
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর Kartar Bhoot Bangla Story By Ravindranath Tagore
একাদশ শ্রেণি বাংলা
কর্তার ভূত একটি রূপক গল্প হিসাবে কতটা সার্থক আলোচনা কর।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা লিপিকা গদ্য গ্রন্থের একটি বিখ্যাত গল্প হল কর্তার ভূত। বিশ্ব বরেণ্য কবি রবীন্দ্রনাথ কর্তার ভূত গল্পে এই সমাজের নানা ত্রুটি-বিচ্যুতি ও অসঙ্গতিকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। এই সমাজ কেবলই পুরাতন ধর্ম সংস্কারের অনুবর্তন করে চলেছে।
জীর্ণ পুরাতন সংস্কার মানুষের জীবনকে কেবলই মূল্যহীন করে দিচ্ছে। মানুষ সেই সংস্কারের উপর আস্থাশীল। সংস্কারকে ভালোবেসে তাকে আঁকড়ে ধরে মানুষ দু চোখ বন্ধ করে, অর্থাৎ উন্নতি ও সম্ভাবনার দ্বার বন্ধ করে দিয়ে দিন কাটাচ্ছে। জীবন প্রতি মুহূর্তে অপমানিত হচ্ছে। অন্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় আমরা পিছিয়ে পড়ছি। তা সত্ত্বেও আমরা সংস্কারকে ত্যাগ করতে পারিনা। জড় সংস্কার আজকে কেবলই পেষণ করে চলেছে। এই সংস্কারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্তার ভূত নামক গল্পে সুন্দর ভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
কর্তার ভূত একটা রূপক গল্প। এখানে বুড়ো কর্তার মৃত্যু, তার ভুত হয়ে থাকা, দেশের লোকের নিশ্চিন্ত হওয়া, ভূতের কানমলা খাওয়া- সবকিছু এক অসুন্দর সমাজকে চিহ্নিত করছে। যে গল্পে বা যে কাহিনীতে বাহ্যিক কাহিনীর অন্তরালে অন্য কোনো অর্থ প্রকাশ পায়, তাকে রূপক বলা হয়। অর্থাৎ রূপক গল্পে বাইরের কাহিনী মুখ্য হয় না, যে কাহিনীটি রূপকের সাহায্যে বুঝে নিতে হয়, তাহলো রূপক গল্প। কর্তার ভূত গল্পে দুটি কাহিনী আছে। বাহ্যিক অঙ্গে রয়েছে, বুড়ো কর্তার মৃত্যু কে কেন্দ্র করে দেশের লোকের অনিশ্চয়তার বোধ এবং ভূত হয়ে বুড়ো কর্তার বেঁচে থাকা। রূপক গল্প বলে এটি যে ভূতের গল্প নয়, তা সহজে চিনতে পারি।
বুড়ো কর্তা হলো দেশের প্রাচীন ধর্ম সংস্কৃতি। বহুকাল পূর্বে ধর্মীয় সংস্কারের মৃত্যু ঘটেছে। বর্তমান সময়ে ধর্মীয় সংস্কার এর মূল্য ও উপযোগিতা কিছু মাত্র নেই। অথচ মানুষ সংস্কার গুলির অনুকরণ করে চলে। ফলে পূর্ণ মনুষ্যত্ব এবং মানবতা বিকাশ লাভ করে না। প্রাচীন জড় সংস্কারের মৃত্যু হল বুড়ো কর্তার মৃত্যু। মানুষ সংস্কার বিমুক্ত হয়ে থাকতে পারে না। তাই তারা মৃত সংস্কারকে আঁকড়ে ধরে থাকলো। অর্থাৎ তারা ভুতের রাজত্বকে শিরোধার্য করল। ভবিষ্যতকে মানলে, ভবিষ্যতের উন্নতির জন্য সচেষ্ট হলে মানুষকে নানাবিধ বাধা-বিপত্তি সহ্য করতে হয়। কিন্তু আত্মসুখ পরায়ণ, ভোগবাদী মানুষ প্রচলিত স্রোতে গা ভাসাতে ভালোবাসে। ভূতের রাজত্বে চোখ বন্ধ করে থাকলো।
কিন্তু যারা স্বভাবদোষে নিজে ভাবতে যায়, অর্থাৎ যারা প্রচলিত স্রোতে গা না ভাসিয়ে সংস্কার মুক্ত সমাজ গড়তে চায়, তারা ভুতের কানমলা খায়। অর্থাৎ সামাজিক অত্যাচার ব্যক্তিবিশেষের উপরে নেমে আসে। অত্যাচারে জর্জরিত হয়ে তখন আর কেউ সংস্কারহীন সমাজের স্বপ্ন দেখেনা। সামাজিক অত্যাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে কোন নালিশ চলে না, কোন বিচার পাওয়া যায় না।
ভুতের জেলখানায় আবদ্ধ মানুষ মুক্তি পায় না। সংস্কারের ঘেরাটোপে মানুষ আবদ্ধ। তা থেকে মুক্তি নেই। সংস্কার মানতে মানতে মানুষের তেজ শেষ হয়ে যায়। মানুষ আর নতুন ভাবনায় ও কর্মে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারেনা। অথচ পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলি সংস্কার থেকে অনেকটা মুক্তি লাভ করেছে। সেখানে মানুষ বিজ্ঞান চর্চা করে, সেখানে মানুষ যুক্তিবাদী। অথচ এখানে যুক্তির কোন বালাই নেই। আমরা এক যুক্তিহীন নৈরাজ্যে বাস করছি। বিদেশে ভূত তাড়ানোর ওঝা আছে। এখানে ওঝা ভূতগ্রস্ত। অর্থাৎ এখানে যারা বিজ্ঞানের চর্চা করে তারাও ভূত গ্রস্ত হয়ে বা সংস্কারে আচ্ছন্ন হয়ে থাকে।
ফলে এ দেশে প্রগতি ও সভ্যতার রথচক্র অচল হয়ে পড়ে থাকে। কিন্তু সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। ভূতের শাসনে মানুষ খাজনা দিতে দিতে নিঃস্ব হয়। ধর্মের দালালরা নানাভাবে মানুষকে শোষণ করে অর্থ আদায় করে। শিরোমনিরা মানুষকে সান্ত্বনা দিয়ে বলে যারা বেহুশ তারা পবিত্র এবং যারা হুশিয়ার তাদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে। ভূতের শাসন নিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে হৃদয়সংবেদী কোন মানুষ হাতজোড় করে গভীর রাতে কর্তাকে বলে তার ছাড়ার সময় কখন হবে। তখন কর্তার ভূত বলে, ভূত মানুষকে ধরে না, মানুষ ভূতকে ত্যাগ করলেই হয়। কিন্তু পরনির্ভরশীল দেশবাসী সংস্কারের মোহ ত্যাগ করতে পারে না। তাই ভূত আজীবন ঘাড়ে বসে থাকে।
এই আলোচনায় দেখা গেল, ভূতের অস্তিত্ব আমাদের মনে। আমরা যদি আত্মনির্ভরশীল হতে না পারি, ভূতের শাসন থেকে মুক্তি ঘটবে না। কর্তার ভূত একটি সমাজ সংস্কারের পথ নির্দেশিকা দিয়েছে। সংস্কারগ্রস্ত মন কখনো আত্ম দীপ্তিতে উজ্জ্বল হতে পারে না। যে সংস্কার সমাজের অগ্রগতি ঘটায় না, সেই সংস্কারকে ত্যাগ করা উচিত।
এই ব্লগে আপনি কি পেতে পারেন ? এই ব্লগ কাদের জন্য? How will this Blog help you? What will you get from this Blog?
এই ব্লগটি মূলত ছাত্র ছাত্রীদের জন্য। পঞ্চম শ্রেণী থেকে শুরু করে মাধ্যমিক পরীক্ষা, একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা, বাংলা অনার্স, বাংলা মাস্টার্স ডিগ্রি পর্যন্ত সমস্ত শ্রেণীর বাংলা বিষয়ে র মূল্যবান নোটস এই ব্লগে পাওয়া যাবে । এই ব্লগে আপনি পাবেন class 10 Bengali book pdf, class 10 Bengali question answer, CBSE class 10 Bengali guide book pdf, class 10 Bengali answer, class 10 Bengali syllabus, class 10 Bengali question answer, CBSE class 10 Bengali guide book pdf free download, CBSE class 10 Bengali guide book pdf, class 10 Bengali syllabus, class 10 Bengali question answer 2022, class 10 Bengali book pdf. বাংলা sahitya sanchayan class 10 bengali,sahitya sanchayan class 10 bengali বই থেকে সমস্ত রকমের নোটস আপনাকে Madhyamik/ Class 10th পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেতে সাহায্য করবে । যে সব ছাত্র ছাত্রী উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেবেন, একাদশ শ্রেণীতে পড়ছেন, তাদের জন্য এই ব্লগ বিশেষভাবে উপযোগী। এই ব্লগে আছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রয়জনীয় বাংলা নোটস এর বিপুল সম্ভার। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য আমি তৈরি করেছি : hs bengali suggestion 2021 pdf download, bangla suggestion 2021 - 2022, bengali suggestion 2021-2022 hs, hs bengali question answer, hs bengali question 2021 - 2022, class 12 bengali suggestion 2021 / 2022 pdf, hs bengali syllabus 2021 - 2022, hs bengali notes, bangla suggestion, hs bengali question answer. একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের জন্য আমি আমার বিশেষ প্রয়াস class 11 Bengali notes pdf download, class 11 Bengali notes, class xi Bengali suggestion pdf, class 11 Bengali question paper. যারা বাংলা বিষয়ে অনার্স Bengali Honours করছেন , তারাও প্রয়োজনীয় সমস্ত নোটস পাবেন। পঞ্চম শ্রেণী Class v / 5 থে কে নবম শ্রে ণী Class ix / 9 পর্যন্ত সমস্ত ক্লাসের বাংলা বই এর প্রশ্ন উত্তর এখানে পাবেন। টেক্সট বই text book থেকে সব উত্তর আছে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam links in the comment box.