রূপনারানের কূলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর Rupnaraner kule by Ravindranath Tagore Question Answer
CLASS 12TH BENGALI POEM RUPNARANER KULE BY RAVINDRANATH TAGORE
Rupnaraner Kule kobita
Rupnaraner Kule Bangla Kobita
প্রশ্ন 1 : “সত্যের দারুন মূল্য লাভ করিবারে, মৃত্যুতে সকল দেনা শোধ করে দিতে।”-তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্নে উদ্ধৃত চরণদ্বয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘শেষলেখা’ কাব্যগ্রন্থের এগারতম কবিতা ‘রূপনারানের কূলে’ থেকে চয়ন করা হয়েছে। কবিতার প্রথমেই দেখি, কবি সত্যের উদ্ভাসে জেগে উঠেছেন। জগৎ ও জীবন মায়া বা স্বপ্ন নয়। বরং তা বাস্তবের দৃঢ় ভিত্তির উপর স্থাপিত।
রোমান্টিক ভাববিলাস জীবনের একটি অধ্যায় মাত্র। কিন্তু জীবনের ছত্রে-ছত্রে দ্বন্দ্বমুখর বাস্তবতা ভিড় করে আছে। আলোক-সন্ধানী কবি জীবনের শেষ সীমায় পৌঁছে দ্বিধা-দ্বন্দ্বময় জীবনের স্বরূপ উপলব্ধি করেছেন।
কবিতাটি ধীরে ধীরে কবির ব্যক্তিগত জীবন-উপলব্ধির সীমা ছাড়িয়ে বিশ্ব-প্রাণের সাথে একাত্ম হয়েছে। তাই তিনি বলেছেন, “ রক্তের অক্ষরে অক্ষরে দেখিলাম/আপনার রূপ”। কবি নিজেকে বিশ্বের আঙিনায় উপস্থাপন করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাকমুহুর্তে কবিতাটি লেখা।
পৃথিবীর শক্তিধর দেশ গুলি সভ্যতার ধ্বংস সাধনে উদ্যত। মানুষের জীবনের মূল্যবোধ অবনমিত। অস্ত্রের ঝনঝনানিতে পৃথিবী শিহরিত, বাতাসে বারুদের গন্ধ। এই সামাজিক প্রেক্ষিতে কবি নিজেকে সকল মানুষের একজন মনে করেছেন। বাল্যকাল সমাপ্ত হয়েছে আগেই, মৃত্যুর প্রান্তে পৌঁছেছেন কবি। অতিক্রম করেছেন সুদীর্ঘ জীবন পথ। এই জীবন পথে নানা দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। তার অভিজ্ঞতার ভান্ডার হয়েছে সমৃদ্ধ।
সেই উপলব্ধ অভিজ্ঞতায় জীবনকে দেখেছেন দুঃখের সমুদ্র রূপে। দুঃখ ও সংঘাতের আগুনে পুড়ে জেগে উঠেছে তার অন্তরের আসল মানুষ, যার হৃদয়তন্ত্রী বিশ্ববীণার সুরে অভিমূর্ত।
কবি সত্যকে ভালোবেসেছেন। কারণ, সত্যকে অস্বীকার করে জীবন পূর্ণতা পায় না। তবে, সত্যের উপলব্ধি সহজ বা মধুর নয়, তা কঠিন। সেই কঠিন বাস্তবতা কে স্বাগত জানিয়েছেন। রোমান্টিক বিলাস ফাঁকি দেয়। কিন্তু বাস্তব উপলব্ধি মিথ্যা হতে পারে না। তাঁর মতে ‘আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা এ জীবন’। পরিশেষে কবি উপলব্ধি করেছেন জীবনের সকল হিসাব মৃত্যুতে সমাপ্ত হয়। এই জীবনের ঋণ মৃত্যুর মধ্য দিয়ে শোধ করতে হয়। মৃত্যু-ভয়ে ভীত না হয়ে সমগ্র মানব সভ্যতার মঙ্গল কামনা করেছেন। মৃত্যুএখানে ভয়ানক না হয়ে জীবনের অবশ্যম্ভাবী সত্যরূপে প্রকাশ পেয়েছে।
প্রশ্ন 2: “রূপনারানের কূলে / জেগে উঠিলাম”-কবির এরূপ প্রত্যয়-এর কারণ কি?
‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় রবীন্দ্রনাথ মানবজীবনকে নদীর পথ চলার রূপকে প্রকাশ করেছেন। সূচনা থেকে জীবন অনন্তের দিকে এগিয়ে চলে। পথ চলার সাথে সাথে মানুষের হৃদয়ে সঞ্চিত হতে থাকে নানা অভিজ্ঞতা। অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ জীবন শেষ প্রান্তে উপনীত হয়ে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসাব করে। আর, হৃদয়ে জাগে এক অতৃপ্তির বোধ। জীবনে চলার পথ মসৃণ নয়। নানা বিপত্তির অভিঘাত অতিক্রম করে জীবন সায়াহ্নে উপনীত হয়। কবিও জীবনের সায়াহ্নে উপনীত হয়ে জগত ও জীবনকে বস্তুনিষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গিতে সমালোচনা করেছেন।
রবীন্দ্রনাথ আনন্দের কবি। তিনি পূর্ণতার প্রতীক। তাঁর কাব্যচর্চার প্রথম দিকে যে সুদৃঢ় আত্মপ্রত্যয় ছিল জীবনের উপান্তে পৌঁছে তা যেন অনেকটা ধুসর হয়েছে। জীবন-সমুদ্রে সন্তরণ করতে করতে কবি অনুভব করেছেন, জীবন শুধুই রোমান্টিক ভাববাদের দ্বারা পূর্ণতা পায় না। জীবন হলো বিবদমান এক সংঘাতময় উপলব্ধি।
প্রসঙ্গত, কবিতার রচনাকালটির দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। কবিতাটি রচিত হয়েছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহ সংঘাতের রেশ কাটতে না কাটতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাকলগ্নে। তখন ইস্পাতে-কামানে পূর্ণ পৃথিবীতে মূল্যবোধের ক্রম অবনমন কবিকে ব্যথিত করেছিল। তিনি উপলব্ধি করতে পারছিলেন সভ্যতার সংকটকে। আবার, রাশিয়া পরিভ্রমণের পর সে দেশের মানুষের বৃহৎ কর্মকাণ্ড কবিকে আশাবাদী করেছিল।
তবুও, সভ্যতার দানবীয় রূপ ও অবক্ষয় তাঁকে কাল্পনিক ভাব-জগৎ থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। কবি যেন মানুষকে, মানুষের ব্যথাকে আরও নিবিড়ভাবে অনুভব করলেন। বিশ্ব-প্রাণের সাথে কবির হৃদয়ের সম্বন্ধ-সমতা আরো দৃঢ় হল। জীবনে প্রাপ্তির দিনে কবির হৃদয়ে যে আনন্দের অনুভব জেগেছিল তাকে গানে, কবিতায় নানাভাবে ব্যক্ত করেছেন। আবার, জীবনের অন্তিমে কবি অনুভব করেছেন, মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মর্ত্য জীবনের সব দেনা পরিশোধ করতে হয়।
রবীন্দ্রনাথ সত্যের পূজারী। সত্য সর্বদা সুন্দর নাও হতে পারে। তবুও, কবি সেই সত্যতেই জীবনের সার্থকতা খুঁজে পেয়েছেন। আমাদের জীবন এক সামগ্রিক সত্যের প্রতীক। কবি উপলব্ধি করেছেন, তিনি কোনো বিচ্ছিন্ন মানুষ নন। বরং বিশ্বের সকল প্রাণের সাথে তাঁর হৃদয়তন্ত্রীও এক তানে ও সুরে গ্রথিত।বিশ্ব জীবনকে হৃদয়ে অনুভব করে কবি যেন অনন্ত সত্যের সন্ধান পেয়েছেন। রূপনারানের কূলে নয়, কবি জীবনের কূলে জেগে উঠেছেন।
এই ব্লগে আপনি কি পেতে পারেন ? এই ব্লগ কাদের জন্য? How will this Blog help you? What will you get from this Blog?
এই ব্লগটি মূলত ছাত্র ছাত্রীদের জন্য। পঞ্চম শ্রেণী থেকে শুরু করে মাধ্যমিক পরীক্ষা, একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা, বাংলা অনার্স, বাংলা মাস্টার্স ডিগ্রি পর্যন্ত সমস্ত শ্রেণীর বাংলা বিষয়ে র মূল্যবান নোটস এই ব্লগে পাওয়া যাবে । এই ব্লগে আপনি পাবেন class 10 Bengali book pdf, class 10 Bengali question answer, CBSE class 10 Bengali guide book pdf, class 10 Bengali answer, class 10 Bengali syllabus, class 10 Bengali question answer, CBSE class 10 Bengali guide book pdf free download, CBSE class 10 Bengali guide book pdf, class 10 Bengali syllabus, class 10 Bengali question answer 2022, class 10 Bengali book pdf. বাংলা sahitya sanchayan class 10 bengali,sahitya sanchayan class 10 bengali বই থেকে সমস্ত রকমের নোটস আপনাকে Madhyamik/ Class 10th পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেতে সাহায্য করবে । যে সব ছাত্র ছাত্রী উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেবেন, একাদশ শ্রেণীতে পড়ছেন, তাদের জন্য এই ব্লগ বিশেষভাবে উপযোগী। এই ব্লগে আছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রয়জনীয় বাংলা নোটস এর বিপুল সম্ভার। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য আমি তৈরি করেছি : hs bengali suggestion 2021 pdf download, bangla suggestion 2021 - 2022, bengali suggestion 2021-2022 hs, hs bengali question answer, hs bengali question 2021 - 2022, class 12 bengali suggestion 2021 / 2022 pdf, hs bengali syllabus 2021 - 2022, hs bengali notes, bangla suggestion, hs bengali question answer. একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের জন্য আমি আমার বিশেষ প্রয়াস class 11 Bengali notes pdf download, class 11 Bengali notes, class xi Bengali suggestion pdf, class 11 Bengali question paper. যারা বাংলা বিষয়ে অনার্স Bengali Honours করছেন , তারাও প্রয়োজনীয় সমস্ত নোটস পাবেন। পঞ্চম শ্রেণী Class v / 5 থে কে নবম শ্রে ণী Class ix / 9 পর্যন্ত সমস্ত ক্লাসের বাংলা বই এর প্রশ্ন উত্তর এখানে পাবেন। টেক্সট বই text book থেকে সব উত্তর আছে ।
Related Tags:
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam links in the comment box.