Footer Logo

২০২১/০৬/০৫

WBBSE Class 10 Poem Africa by Ravindranath Tagore

  BAIRAGYA SHIKSHA NIKETAN       ২০২১/০৬/০৫

 আফ্রিকা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা আফ্রিকা কবিতাটি পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কর্তৃক নির্ধারিত দশম শ্রেণির বাংলা পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে (Africa Kobita Class 10)। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা আফ্রিকা কবিতাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমি আফ্রিকা কবিতা সম্পর্কিত সমস্ত রকমের প্রশ্নের উত্তর যেমন আলোচনা করেছি তেমনিভাবে কবিতাটি সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছি। 



WBBSE Class 10 Poem Africa by Ravindranath Tagore
WBBSE Class 10 Poem Africa by Ravindranath Tagore

কবি পরিচিতি: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর


বিশ্ববরেণ্য কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 1268 বঙ্গাব্দের পঁচিশে বৈশাখ (7/5/1861) কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারের জন্মেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাবার নাম ছিল মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মায়ের নাম কি ছিল সারদা দেবী। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা প্রথম কাব্যগ্রন্থ হল 'সন্ধ্যাসংগীত'। 'প্রভাত সঙ্গীত', 'ছবি ও গান', 'কড়ি ও কোমল', 'মানুসী', 'চিত্রা', 'চৈতালি', 'সোনার তরী', 'কল্পনা', 'নৈবেদ্য', 'ক্ষণিকা', 'গীতাঞ্জলি', 'গীতিমাল্য' ইত্যাদি তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ। 1913 খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 'সং অফারিংস' কাব্যের জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। 1941 খ্রিস্টাব্দে 7 আগস্ট (1348 বঙ্গাব্দের 22 শ্রাবণ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু হয়। 


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা 'আফ্রিকা' কবিতার উৎস


বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা 'আফ্রিকা' কবিতাটি প্রবাসী পত্রিকায় 1343 বঙ্গাব্দে প্রথমে প্রকাশিত হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা 'পত্রপুট' কাব্যগ্রন্থে এবং 'সঞ্চয়িতা' নামে কাব্য সংকলন গ্রন্থ অন্তর্ভুক্ত হয়। 


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা আফ্রিকা কবিতার বিষয়বস্তু / আফ্রিকা কবিতার ব্যাখ্যা
(Africa by Rabindranath Tagore Summary / Summary of the Poem Africa by Rabindranath Tagore)


আফ্রিকা মহাদেশ ছিল গভীর জঙ্গলে ঢাকা। সৃষ্টির সময় কাল থেকে আফ্রিকার বুকে ঘন অরণ্য সৃষ্টি হয়েছিল। ক্রুদ্ধ সমুদ্র এবং প্রকৃতির সঙ্গে নিরন্তর যুদ্ধ করতে করতে আফ্রিকা বন্য স্বভাব লাভ করেছিল। পৃথিবীর অন্যান্য মহাদেশ আফ্রিকাকে উপেক্ষা করেছে। প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে বা অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইতে আফ্রিকা জয়ী হবার মন্ত্র শিখে নিয়েছিল। কিন্তু আফ্রিকার এই সম্মান এবং বীরত্ব সাম্রাজ্যবাদী ইউরোপের কাছে প্রধানত হলো। সাম্রাজ্যবাদী ইউরোপীয়রা আফ্রিকাকে বন্দি ও পদানত করল এবং আফ্রিকার মানবসম্পদ ও অন্যান্য সকল সম্পদ লুন্ঠন করল।


Summary of the Poem Africa by Rabindranath Tagore in Bengali


সাম্রাজ্যবাদী ইউরোপীয় বা ইংরেজরা আফ্রিকার উপর এমন নির্মম অত্যাচার চালালো, আফ্রিকার বুক থেকে রক্ত ঝরল, চোখ থেকে ঝরল অশ্রু। আফ্রিকার রক্তে এবং অশ্রুতে মাটি কর্দমাক্ত হল। শ্বেতাঙ্গ ইউরোপীয়রা আফ্রিকার উপর কিছুমাত্র করুণা প্রদর্শন করে নি। আফ্রিকা যখন জীবনের যন্ত্রণায় ছটফট করছে তখন ইউরোপের শিশুরা মায়ের কোলে শান্তিতে খেলা করছিল। ইউরোপের মন্দিরে মন্দিরে বাজছিল পূজার ঘন্টা। আর রাজ্য বাদী ইউরোপের কবি ও শিল্পীরা সুন্দরের আরাধনা করেছিলেন। 


কবিতার শেষ অংশে আছে, পৃথিবীর অন্তিম কাল ঘনিয়ে এসেছে। সভ্যতার সূর্য অস্তে চলেছে। গুপ্ত গহবর থেকে সাম্রাজ্যলোভী পশুরা বেরিয়ে এসেছে। পৃথিবীর এবং মানব সভ্যতার ধ্বংসের কাল আসন্ন। ধ্বংসের এমন সন্ধিক্ষণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মানুষের কোবির কাছে আহ্বান করেছেন, আফ্রিকার উপর দীর্ঘদিন ধরেই যে অত্যাচার অন্যায় ঘটেছে, তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। আপনি কার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা হলো এই যুগের এবং এই সভ্যতার শেষ পুণ্য বাণী। 


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা আফ্রিকা কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-উত্তর

প্রতিটি প্রশ্নের মান 1


1. আফ্রিকাকে ছায়াবৃতা বলা হয়েছে কেন? 

আফ্রিকা মহাদেশ ঘন জঙ্গলে ঢাকা। আফ্রিকার জঙ্গল এত ঘন যে সূর্যের আলো সেখানে সব স্থানে প্রবেশ করতে পারে না। তাই আফ্রিকাকে ছায়াবৃতা বলা হয়েছে। 


2. নিভৃত অবকাশে আফ্রিকা কি করেছিল? 

আফ্রিকা মহাদেশ সৃষ্টির সময় রুদ্র সমুদ্র তাকে অনেক দূরে স্থাপন করেছিল। সেই নিভৃত অবকাশে আফ্রিকা দুর্গম এর রহস্য সংগ্রহ করেছিল। 


3. "এল ওরা লোহার হাতকড়ি নিয়ে"- কারা, কেন লোহার হাতকড়ি নিয়ে এলো?

ইউরোপীয় সাম্রাজ্যলোভী শাসকরা লোহার হাতকড়ি নিয়ে আফ্রিকাকে বন্দী করতে এসেছিল। 


4. "গর্বে যারা অন্ধ তোমার সূর্যহারা অরণ্যের চেয়ে"- কাদের সম্বন্ধে এ কথা বলা হয়েছে? 

শ্বেতাঙ্গ ইংরেজদের সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে। আফ্রিকা মহাদেশ ঘন জঙ্গলে ঢাকা থাকার কারণে সেখানে সর্বদা অন্ধকার বিরাজ করে। কিন্তু শ্বেতাঙ্গ ইউরোপীয়দের লোভ তাদের মনকে আরো অন্ধকারাচ্ছন্ন করে রেখেছে। 


5. "নখ যাদের তীক্ষ্ণ তোমার নেকড়ের চেয়ে"- এর অর্থ বুঝিয়ে দাও। 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আফ্রিকা কবিতায় সাম্রাজ্যবাদী শাসকের নিষ্ঠুর অত্যাচারের কথা বলতে গিয়ে তাদেরকে বন্য নেকড়ের চেয়েও হিংস্র ও ভয়ানক বলে উল্লেখ করেছেন। 


6. "নতুন সৃষ্টিকে বারবার করছিলেন বিধ্বস্ত"- কে, কেন নতুন সৃষ্টিকে বিধ্বস্ত করছিলেন?

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আফ্রিকা কবিতায় বলেছেন ঈশ্বর পৃথিবীকে সৃষ্টি করার সময় নিজের উপর সন্তুষ্ট হতে পারেননি তাই পৃথিবীতে বারবার সৃষ্টি করেছিলেন এবং বিধ্বস্ত করছিলেন। 


7. কবির সংগীতে কী বেজে উঠেছিল?

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আফ্রিকা কবিতায় বলেছেন ইউরোপে কবির সঙ্গীতে সুন্দরের আরাধনা ধ্বনিত হয়েছিল। 


8. "এসো যুগান্তরের কবি"- কাকে, কেন যুগান্তরের কবি বলা হয়েছে? 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আফ্রিকা কবিতায় যুগান্তরের কবি কথাটি ব্যবহার করে যুগের সন্ধিক্ষণকে বোঝাতে চেয়েছেন। পৃথিবীজুড়ে হিংসা ও যুদ্ধের তাণ্ডবে মানব সভ্যতা ধ্বংস হতে চলেছে এবং সেই সময়ের সকল কবি হলেন যুগান্তরের কবি। 


9. "চিরচিহ্ন দিয়ে গেল তোমার অপমানিত ইতিহাসে"- চিরচিহ্ন কথাটি কেন ব্যবহার করেছেন? 

ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদী শাসকের অত্যাচারে আফ্রিকা ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। তার বুক থেকে রক্ত ঝরেছে এবং সেটি আফ্রিকার কাছে অত্যন্ত কলঙ্কের ও লজ্জার। সেই অত্যাচার আফ্রিকার ইতিহাসকে চিরদিনের মত কলঙ্কিত করল। 


10. "সভ্যের বর্বর লোভ"বলতে কী বোঝো? 

ইউরোপীয় মানুষরা নিজেদেরকে সভ্য বলে পৃথিবীতে প্রচার করে। কিন্তু তারা সভ্য মানুষ নয় তারা অত্যাচারী হিংস্র। ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদী শাসকরা আফ্রিকার উপর যে অন্যায় এবং নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করেছিল তা বর্বর ছিলো এবং ইউরোপীয়দের অসভ্যতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল।


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা আফ্রিকা কবিতার বড় প্রশ্ন ও উত্তর


প্রশ্ন 1: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা আফ্রিকা কবিতায় উদ্ভ্রান্ত যে আদিম যুগের পরিচয় আছে তা লেখ। 


প্রাগৈতিহাসিক কালে আফ্রিকার সৃষ্টি হয়েছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আফ্রিকা কবিতায় আফ্রিকার সৃষ্টিকালীন উত্থান-পতনের দিনগুলোকে সুন্দরভাবে লিপিবদ্ধ করেছেন। সে সময়ে পৃথিবী সুস্থির আকার পায়নি। প্রবল ভূমিকম্পে সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীকে ভেঙে গড়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রাগৈতিহাসিক কালে পৃথিবীর ভাঙ্গা-গড়াকে সৃষ্টিকর্তার অস্থির মনের ফল হিসেবে দেখিয়েছেন। ঈশ্বর যেন নিজের সৃষ্টির উপর সন্তুষ্ট হতে না পেরে পৃথিবীকে বারবার ভেঙে গড়ছিলেন।


তাই আদিম যুগ ছিল উদ্ভ্রান্তের যুগ। ঈশ্বরের অধৈর্যের কারণে সমুদ্রে দেখা গিয়েছিল প্রবল জলস্রোত। পৃথিবী কেঁপে উঠেছিল প্রবল ভূমিকম্পে। মহাদেশীয় পাত ভেঙে গিয়ে এসময়ে সাতটি বড় পাতের ও অনেকগুলি ছোট পাতের সৃষ্টি হয়েছিল। পৃথিবীর পরিচলন স্রোত পাতগুলিকে পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন করল। এভাবে আফ্রিকা মহাদেশের সৃষ্টি হয়েছিল। পৃথিবীর সৃষ্টিকালীন সেই সময়টিকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সুললিত গদ্যছন্দে চিত্রিত করেছেন। 


প্রশ্ন 2: "কৃপণ আলোর অন্তঃপুরে"- কথাটির তাৎপর্য লেখ। 


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আফ্রিকা কবিতায় আফ্রিকার সৃষ্টিকালীন দিনগুলিকে কবিতার আকারে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। পৃথিবীর পরিচলন স্রোত এবং নানা কারণে পৃথিবীর অভ্যন্তরে থাকা মহাদেশীয় পাত বা প্যানজিয়া ভেঙে গিয়েছিল এবং অনেকগুলি মহাদেশীয় পাত সৃষ্টি হয়েছিল। সেই সময় কালে আফ্রিকা মহাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল। প্রাকৃতিক অস্থিরতার জন্য সে সময়ে সমুদ্র ছিল অশান্ত ভয়ঙ্কর। সমুদ্রস্রোত আফ্রিকা মহাদেশকে এশিয়া ও অন্যান্য মহাদেশীয় পাত থেকে বিচ্ছিন্ন করে অনেক দূরে নিয়ে গিয়েছিল এবং নির্জন সমুদ্রবক্ষে তাকে স্থাপন করেছিল।


আফ্রিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে সুনিবিড় বন গড়ে উঠলো। সেই অরণ্য এত ঘন ছিল যে সূর্যের আলো প্রবেশের পথ পেল না। গাছের পাতায় পাতায় যেন সেতুবন্ধ বা ক্যানোপি তৈরি হলো। আফ্রিকার ভূমি সূর্যের আলোর স্পর্শ থেকে বঞ্চিত হল। প্রাগৈতিহাসিক কালে আফ্রিকার রূপের বর্ণনা প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ আফ্রিকার ভূখণ্ডকে কৃপণ আলোর অন্তপুর বলেছেন। অন্তঃপুরে নারীরা যেভাবে ঘোমটার আড়ালে অপরিচিত থেকে যায়, আফ্রিকা তেমনি একটি নারীর মতোই অন্তঃপুরবাসিনী হয়ে সমগ্র পৃথিবীর দৃষ্টিপথের আড়ালে লুকিয়ে ছিল। 


প্রশ্ন 3: "নগ্ন করল আপন নির্লজ্জ অমানুষতা"- কে, কিভাবে নির্লজ্জ অমানুষতা প্রকাশ করল? 


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আফ্রিকা কবিতায় সাম্রাজ্য লোভী ইংরেজদের নির্লজ্জ অমানুষ বলে উল্লেখ করেছেন। 

আফ্রিকা ক্রুদ্ধ সমুদ্র ও ভয়ানক প্রকৃতির সঙ্গে ক্রমাগত লড়াই করে আপনার অস্তিত্ব যেমন অক্ষত রেখেছিল, তেমনি ভাবে আপনার বুকে সঞ্চয় করেছিল মানবতার মধু। ইউরোপীয় সভ্য মানুষের কাছে আফ্রিকা ছিল ঘৃণিত। ইউরোপীয়রা উপেক্ষার আবিল দৃষ্টিতে আফ্রিকাকে দেখেছিল। তথাকথিত আধুনিক শিক্ষার আলো আফ্রিকার ছিল না। শ্যামল প্রকৃতির নিবিড় সাহচর্য্যে আফ্রিকার মানুষ নিজেদের সম্মৃদ্ধ করেছিল।


আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত ইউরোপীয়রা নিজেদের সর্বোত্তম মানুষ বলে পৃথিবীতে পরিচয় দিত। কিন্তু সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজদের মনে মানবতার অবশিষ্ট কিছু ছিল না। তারা ছিল লোভী ও অত্যাচারী। মানবতার নামাবলী গায়ে পড়ে তারা মানুষ শিকার করত। আফ্রিকার সম্পদ লুট করার জন্য তারা আফ্রিকাকে বন্দিনী করল। তারা আফ্রিকার উপর চরম অত্যাচার করে নিজেদের হিংস্র সত্তাকে প্রকাশ করল। তাদের চরিত্রে দয়া ক্ষমা ইত্যাদি মানবিক গুণগুলো কিছুমাত্র প্রকাশ পায়নি।


লোহার হাতকড়ির কঠোর শৃংখলে তারা আফ্রিকার কণ্ঠরোধ করল। আফ্রিকার সিংহের হিংস্রতা তাদের অত্যাধুনিক অস্ত্রের কাছে পরাভূত হলো। তাদের অহংকার গগনচুম্বী এবং অহংকারে অন্ধ হয়ে তারা মানবতাকে বিসর্জন দিল। নিষ্পাপ আফ্রিকার ওপর সীমাহীন অত্যাচার করতে তারা কুণ্ঠিত হয়নি।। কদর্য হিংসা ও লোভ তাদের নির্লজ্জ অমানুষ করে তুলেছিল। 


প্রশ্ন 4: "শিশুরা খেলছিল মায়ের কোলে"- এই লাইনটির তাৎপর্য লেখ। 


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আফ্রিকা কবিতায় আফ্রিকার উপরে ঘটে যাওয়া নির্মম অত্যাচারের বর্ণনা যেমন দিয়েছেন তেমনিভাবে সাম্রাজ্য লোভী ইউরোপীয়রা কতটা শুখে এবং নিরাপদে দিনযাপন করছিল তার পরিচয় রেখেছেন। অস্ত্রের দম্ভে ইংরেজরা যখন আফ্রিকার উপরে অবর্ণনীয় অত্যাচার করছিল তখন সমুদ্রপাড়ে ইংল্যান্ডে পূজার ঘন্টা বাজছিলো এবং দেবতা দয়াময় একথা প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল। দেবতা কেবল ইংরেজদের কাছে দয়াময়, তার দয়া আফ্রিকার উপরে বর্ষিত হয় না।


তাইতো যখন আফ্রিকার বুক থেকে রক্ত ঝরছিল তখন ইউরোপীয় শিশুরা নিরাপদে মায়ের কোলে খেলা করছিল। একদিকে আফ্রিকার উপরে ইউরোপীয়দের অত্যাচার অন্যদিকে ইউরোপের বিলাসবহুল সুখী জীবন যাপনের বৈপরীত্য এখানে প্রকাশ পেয়েছে। বৈপরীত্য সৃষ্টির মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রনাথ যেন সভ্যতার ভয়ঙ্কর ক্ষুধাকে প্রকাশ করেছেন। আফ্রিকার শিশুরা নিরাপদ নয়। বন্দুকের নলের সামনে তাদের বিবর্ণ করুন মুখগুলি রবীন্দ্রনাথকে ব্যথাতুর করেছিল। তথাকথিত সভ্য ইংরেজদের এই বর্বর আচরণ উল্লেখ করে কবি রিকার মহান মানবতাকে প্রকাশ করেছেন। 


প্রশ্ন 5: "কবির সংগীতে বেজে উঠেছিলো সুন্দরের আরাধনা"- তাৎপর্য লেখ। 


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আফ্রিকা কবিতায় সভ্যতার আলোকচ্ছটর মধ্যে সত্য ও সুন্দরকে খুঁজে পাননি। আফ্রিকার নিভৃত বন্য পরিবেশে তিনি মহান মানবতার সন্ধান পেয়েছিলেন। আফ্রিকা কবিতায় একদিকে আছে আফ্রিকার সরল সাধারণ মানুষের উপর সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজের নিষ্ঠুর অত্যাচার, অন্যদিকে ইংরেজদের দেশে বিজয় উৎসব এর ঘটনা। ইউরোপীয়দের কাঁটা মারা জুতোর তলায় যখন আফ্রিকার ইতিহাস ভূলুণ্ঠিত হয়েছিল তখন ইউরোপের শিশুরা মায়ের কোলে নিরাপদে খেলা করছিল।


গায়ক সুললিত গান রচনা করেছিল। ইউরোপে সর্বত্র সুখ ও শান্তি বিরাজ করছিল। সেখানে কবিরা মনের মাধুরী মিশিয়ে সাহিত্যচর্চা করছিল, গায়ক সুললিত সুরে গান রচনা করেছিল। এই কবিতায় একদিকে রয়েছে যন্ত্রণাদগ্ধ আফ্রিকার চিৎকার, অন্যদিকে ইউরোপীয়দের সঙ্গীত চর্চা। সংগীতচর্চা তখনই সম্ভব হয় যদি সেখানে মানুষের বিকাশের উপযোগী পরিবেশ থাকে। ইউরোপীয়রা নিজের দেশে সুখের বাতাবরণ করে রেখেছিল। কিন্তু অন্য দেশে বা আফ্রিকায় তারা নিষ্ঠুর অত্যাচার ও লুন্ঠন করেছিল।


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আফ্রিকা কবিতায় ভন্ড ইউরোপীয়দের মুখোশ খুলে দিয়েছেন। তারা অন্য দেশকে শোষণ করে নিজেদের বৈভব বাড়িয়েছিল। তাদের সঙ্গীদের পশ্চাতে প্রতিধ্বনিত হয় এক চাপা কান্না। যা সত্য তাই সুন্দর। কিন্তু ইউরোপীয়রা মিথ্যা সুন্দরের আরাধনা করে। কারণ তাতে সত্তের ছোঁয়া নেই। একদিকে আফ্রিকার জীবনের যন্ত্রনা অন্যদিকে ইউরোপীয়দের বিলাসবহুলতা প্রশ্নে উদ্ধৃত বাক্যটির মধ্য দিয়ে সুন্দর ভাবে প্রকাশ পেয়েছে। 


প্রশ্ন 6: আফ্রিকাকে মানহারা মানবী বলা হয়েছে কেন? 


আফ্রিকা আপনার গুণে ও সাহসিকতায় পৃথিবীতে অনন্য সম্মান অর্জন করেছিল। সমস্ত পার্থিব ও বাধাকে জয় করার প্রবল বাসনা ও প্রচেষ্টা আফ্রিকাকে মোহময়ী করেছিল। কিন্তু ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদীরা অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রের সাহায্যে আফ্রিকার সুদীর্ঘকালের অর্জিত সম্মান ভূলুণ্ঠিত করল। তাই আফ্রিকাকে মানহারা বলা হয়েছে। 


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আফ্রিকাকে মানহারা মানবী বলেছেন। মনুষ্যত্ব ও অন্যান্য গুণাবলী থাকলে তাকে মানবী বলা যায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একইসঙ্গে আফ্রিকার মানুষ ও ইউরোপের মানুষের মধ্যে তুলনা করে আফ্রিকাকে সর্বোত্তম বলেছেন। আফ্রিকায় যে মানুষ আছে তারা ইউরোপীয় শিক্ষার আলোয় উজ্জ্বল নয়। তাদের বন্যজীবন আধুনিক সভ্যতা থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে।


কিন্তু রবীন্দ্রনাথ আফ্রিকার মানুষের মধ্যে প্রকৃত মানবতা খুঁজে পেয়েছেন। ইউরোপের মানুষদের মধ্যে আধুনিক শিক্ষার আলো যেমন আছে তেমনি সেই আলো তাদের উদারমনা না করে সংকীর্ণ স্বার্থবুদ্ধি অহিংসার আবর্তে বেঁধে রেখেছে। তাই তারা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে শুদ্ধ মানবতাকে লাঞ্ছিত করে। সর্বগ্রাসী লোক ইউরোপীয়দের অমানুষ করেছে। অন্যদিকে অসভ্য আদিম আফ্রিকার মধ্যে মানুষের গুণগুলি সম্পূর্ণরূপে উপস্থিত রয়েছে। 


আফ্রিকাকে মানহারা মানবী বলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। আফ্রিকার পাশে দাঁড়িয়ে তার ব্যথার সমব্যথী হয়ে তার উপরে সুদীর্ঘকাল ধরে যে নির্মম অত্যাচার করে চলেছে ইউরোপীয়রা তার জন্য আমি নিজে ক্ষমা প্রার্থনা করে নিলেন এবং সকল কবিকে ক্ষমা স্বীকার করার প্রার্থনা করলেন। 


প্রশ্ন 7: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আফ্রিকার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন কেন? 


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আফ্রিকা কবিতায় আধুনিক সভ্যতার নির্লজ্জ বর্বরতার পরিচয় যেমন দিয়েছেন তেমনি সীমাহীন অমানুষতা থেকে গ্লানি মোচনে উপায় নির্ণয় করেছেন। তথাকথিত সভ্য ইউরোপীয়রা পৃথিবীর সুখ ও শান্তিকে বন্দুকের নলের সামনে রেখে পৃথিবী শাসন করতে চায়। সাম্রাজ্য লোভী দেশগুলির নিষ্ঠুরতা পৃথিবীকে ধ্বংসের প্রান্তে দাঁড় করিয়েছে।


বর্তমান পৃথিবী মানুষের শান্তির আশ্রয় নয় বরং বারুদের স্তূপের উপর অবস্থান করছে। ফোন পৃথিবীর মহাসংকটের কাল। কবির মতে সভ্যতার সূর্য অস্তের ঢলে পড়েছে। অন্ধকার আসন্ন। কবির ভাষায়, "প্রদোষ কাল ঝড়-বাতাসের রুদ্ধশ্বাস"। সভ্যতার ধ্বংসের জন্য যারা দোষী তারা গুপ্ত গহবর থেকে বের হয়ে বিশ্বযুদ্ধের সূচনা করলো। সারা পৃথিবী ব্যাপী যুদ্ধ ও ধ্বংসের যে অশুভ ধ্বনি ঘোষণা করল তাতে সভ্যতার অন্তিমকাল ঘোষিত হল। 


আধুনিক বিশ্ব ধ্বংস হতে চলেছে এবং একইসঙ্গে বিনষ্ট হতে চলেছে মানুষের সভ্যতা ও সংস্কৃতি। এই সময় কালকে রবীন্দ্রনাথ যুগান্ত বলে উল্লেখ করেছেন। একইসঙ্গে যুগান্তের কবিকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন আফ্রিকার উপর বর্বর ইউরোপীয়রা শতাব্দীকাল ধরে যে অত্যাচার করেছে সেই গ্লানি মোচনের জন্য সভ্যতার অন্তিমকালে দাঁড়িয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। 


প্রশ্ন 8: "সেই হোক তোমার সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী"- সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী কী? 


আফ্রিকা কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সভ্যতার সংকটকে সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। বিজ্ঞান ও যন্ত্র সভ্যতায় উন্নত ইউরোপ সারা পৃথিবী জুড়ে মানবতাকে হত্যা করেছে এবং সুদীর্ঘকালের মানবসভ্যতাকে নিশ্চিত পতনের দিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। তাদের স্বার্থ ও লোভ পূর্ণ করতে তারা আফ্রিকাকে বন্দিনী ও প্রদানত করেছে। এই কবিতাটি যখন রচনা হয়েছিল তখনো প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগুন নেভানি।


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়ঙ্কর মেঘ আকাশে জমতে শুরু করেছিল। ইউরোপের শক্তিধর দেশগুলো তাদের সভ্যতা ও অস্ত্রের দম্ভে পৃথিবীর পতন নিশ্চিত করেছিল। তারা সর্বগ্রাসী ক্ষুধা নিয়ে পৃথিবীকে গিলে খেতে চায়। সমগ্র পৃথিবীর অধীশ্বর হবার বাসনায় তারা যুদ্ধের যে আয়োজন করেছিল তা পৃথিবীর অন্তিমকাল বলে উল্লেখ করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। 


এই ভয়ংকর দুঃসময়ে মানবতার অবশিষ্টটুকু কেবল একজনের কাছে পাওয়া যেতে পারে। তিনি হলেন কবি। স্বার্থলোভী মানুষদের হিংস্র প্রলাপে পৃথিবী শঙ্কিত। তাই রবীন্দ্রনাথ যুগান্তরের কবিকে আহবান করে বলেছেন আফ্রিকার নিকট ক্ষমা স্বীকার করতে হবে কবি হলেন সহৃদয় ও শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের প্রতীক। একমাত্র কবির লেখনীতে চিরন্তন সত্য প্রকাশ পায়। পৃথিবীজুড়ে হিংসা লোভ স্বার্থের মহাঘূর্ণিতে সত্যের স্থান নেই। পতনোন্মুখ পৃথিবীর গ্লানি দূরীভূত হবে না।


আফ্রিকার উপর ইংরেজের অত্যাচারের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করা প্রয়োজন। রবীন্দ্রনাথ দিনের অন্তিমকালে কবির কাছে আবেদন করে বলেছেন তিনি যেন আফ্রিকার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে শত অপলাপের মধ্যে একটি সত্য বচন ফুটিয়ে তোলেন।

......................................................................................////........................................................................

এই ব্লগে আপনি কি পেতে পারেন ? এই ব্লগ কাদের জন্য? How will this Blog help you? What will you get from this Blog?


এই ব্লগটি মূলত ছাত্র ছাত্রীদের জন্য। পঞ্চম শ্রেণী থেকে শুরু করে মাধ্যমিক পরীক্ষা, একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা, বাংলা অনার্স, বাংলা মাস্টার্স ডিগ্রি পর্যন্ত সমস্ত শ্রেণীর বাংলা বিষয়ে র মূল্যবান নোটস এই ব্লগে পাওয়া যাবে । এই ব্লগে আপনি পাবেন class 10 Bengali book pdf, class 10 Bengali question answer, CBSE class 10 Bengali guide book pdf, class 10 Bengali answer, class 10 Bengali syllabus, class 10 Bengali question answer, CBSE class 10 Bengali guide book pdf free download, CBSE class 10 Bengali guide book pdf, class 10 Bengali syllabus, class 10 Bengali question answer 2022, class 10 Bengali book pdf. বাংলা sahitya sanchayan class 10 bengali,sahitya sanchayan class 10 bengali বই থেকে সমস্ত রকমের নোটস আপনাকে Madhyamik/ Class 10th পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেতে সাহায্য করবে । যে সব ছাত্র ছাত্রী উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেবেন, একাদশ শ্রেণীতে পড়ছেন, তাদের জন্য এই ব্লগ বিশেষভাবে উপযোগী। এই ব্লগে আছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রয়জনীয় বাংলা নোটস এর বিপুল সম্ভার। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য আমি তৈরি করেছি : hs bengali suggestion 2021 pdf download, bangla suggestion 2021 - 2022, bengali suggestion 2021-2022 hs, hs bengali question answer, hs bengali question 2021 - 2022, class 12 bengali suggestion 2021 / 2022 pdf, hs bengali syllabus 2021 - 2022, hs bengali notes, bangla suggestion, hs bengali question answer. একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের জন্য আমি আমার বিশেষ প্রয়াস class 11 Bengali notes pdf download, class 11 Bengali notes, class xi Bengali suggestion pdf, class 11 Bengali question paper. যারা বাংলা বিষয়ে অনার্স Bengali Honours করছেন , তারাও প্রয়োজনীয় সমস্ত নোটস পাবেন। পঞ্চম শ্রেণী Class v / 5 থে কে নবম শ্রে ণী Class ix / 9 পর্যন্ত সমস্ত ক্লাসের বাংলা বই এর প্রশ্ন উত্তর এখানে পাবেন। টেক্সট বই text book থেকে সব উত্তর আছে ।


মাধ্যমিক বাংলা | WBBSE Class 10th Bengali - Summary of the Poem Africa by Rabindranath Tagore in Bengali

মাধ্যমিক বাংলা | WBBSE Class 10th Bengali - Summary of the Poem Africa by Rabindranath Tagore in Bengali

WBBSE Class 10th Bengali Suggestion- Africa Rabindranath Thakur kobita lyrics

WBBSE Class 10th Bengali Suggestion- Africa Rabindranath Thakur kobita lyrics

WBBSE Class X Bengali Suggestion- Africa kobita lyrics in Bengali

WBBSE Class X Bengali Suggestion- about Rabindranath Tagore in

WBBSE Class 10th Bengali Question - Answer - Africa kobita class 10

WBBSE Class 10th Bengali Question - Answer -  Africa kobita class 10

WBBSE Class 10th Bengali Suggestion -  আফ্রিকা কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর

WBBSE Class 10th Bengali Suggestion -  আফ্রিকা কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর

WBBSE Class 10th Madhyamik Bengali Suggestion - দশম শ্রেণীর আফ্রিকা কবিতার ব্যাখ্যা

WBBSE Class 10th Madhyamik Bengali Suggestion -  Africa poem by Rabindranath Tagore

WBBSE Class 10th WBBSE Madhyamik Bengali Suggestion - poem Africa by Rabindranath Tagore

 দশম শ্রেণি / মাধ্যমিক বাংলা- bengali poem africa by rabindranath tagore

WBBSE Class 10th WBBSE Madhyamik Bengali Suggestion - Africa kobita by Rabindranath Tagore

দশম শ্রেণি / মাধ্যমিক বাংলা- Africa poem by Rabindranath Tagore in Bengali pdf


WBBSE Madhyamik Bengali Suggestion, WBBSE Class 10th Bengali Suggestion Download, WBBSE Class 10th Bengali Question Answer Suggestion, WBBSE Class 10th Bengali, WBBSE Class 10th Bengali Question Paper, WBBSE Madhyamik important question-answers, Madhyamik Bengali Suggestion.



AKB SCHOOL provides Madhyamik Bengali Suggestion, WBBSE Class 10th Bengali Question Answer Suggestion, WBBSE Class 10th Bengali Question Paper, WBBSE Madhyamik important question-answers, Madhyamik Bengali Suggestion.

logoblog

Thanks for reading WBBSE Class 10 Poem Africa by Ravindranath Tagore

Previous
« Prev Post

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please do not enter any spam links in the comment box.